শাহবাগী ইয়াবাখোর
ড্যান্সার রনি ওরফে জনির ষড়যন্ত্রেই খুন হয়েছেন চামেলীবাগী পুলিশ
ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশিষ্ট
গোয়েন্দা মনির টাকলা।
দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বীরশ্রেষ্ঠ রনি ওরফে জনি
ঐশিকে গ্রেফতারের পরদিনই তাকে তার কর্মস্থল শাহবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছে বেশ কিছু ইয়াবা পাওয়া গেছে।
গোয়েন্দারা জানান, আদর্শ বাঙালি মিতা হক গোপালপুরীর অনুসারী ঐশি এবং
শাহবাগী ড্যান্সার জনি প্রায় দুইবছর ধরেই একসাথে নেশা করেন। তবে অর্থাভাবে
ইয়াবা খেতে পারতেন না। গত ফেব্রুয়ারীতে শাহবাগে আন্দোলন শুরু হলে
টেকনাফের উর্দুলীগার আব্দুর রহমান এমপি শাহবাগে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা
সরবরাহ করলে তারা সেই আন্দোলনে শরিক হয়।
জনি যে শাহবাগী ড্যান্সার এইটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। শাহবাগী আন্দোলনে
নাচের বিনিময়ে ইয়াবা কর্মসুচিতে অংশ নিয়ে জনি প্রচুর পরিমাণে ইয়াবা
সংগ্রহ করে। তখন থেকেই জনি আর ঐশি ইয়াবার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।
জানা গেছে শাহবাগী আন্দোলনের নিয়মিত ড্যান্সার জনি, নিহত মাহফুজুর
রহমানের মেয়ে ঐশির ছেলেবন্ধু হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করে
আসছে। তবে রিমান্ডে দেখা গেছে জনি একটা হিজড়া। হিজড়া হয়েও কিভাবে তিনি
ছেলেবন্ধুর দায়িত্ব পালন করছিলেন এই রহস্যের কূল-কিনারা করতে পারেননি
গোয়েন্দারা।
এদিকে শাহবাগী ড্যান্সার জনিকে গ্রেফতার করায় এর তীব্র নিন্দা
জানিয়েছেন শাহবাগের মুখপাত্র ইমরান এইডস সরকার। তিনি বলেন, ‘শাহবাগী
ড্যান্সার জনি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বীরশ্রেষ্ঠ। একজন বীরশ্রেষ্ঠকে
এভাবে গ্রেফতার করার তীব্র পতিবাদ জানাচ্চি।’
গ্রেফতারের প্রতিবাদ হিসেবে বিভক্ত ভারতের বাংলাদেশ প্রদেশের
মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের “প্রধানমন্ত্রী” মনমোহন সিংহকে
স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি ঘোষনা করেছে এই বিশিষ্ট এইডসরোগী।
তবে স্মারকলিপি দিতে শেরাটন মোড় পর্যন্ত যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী তাদের
গ্রহণ করতে কোন মডেলের জিপ পাঠাবেন তা নিয়ে বনিবনা হওয়ার আগ পর্যন্ত
নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষনা করতে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এখুন
বৃষ্টি-বাদলের কুন মা-বাপ নাই। বৃষ্টি হইলেই সারা দেশে উন্নয়ের জোয়ার
শুরু হয় আর প্যাঁকের জ্বালায় হাটাই যায় না। এইজন্যে একটা উন্নত মডেলের
জিপ খুব দরকার। আশা করি তিনি জিপের মডেল নিশ্চিত করলেই আমরা স্মারকলিপি
দিতে যেতে পারবো।’